উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে 4 থেকে 5.1 ইঞ্চি এর মধ্যে। আর সাধারন অবস্থায় এক এক জন পুরুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য এক এক রকম হয়ে থাকে কারো এক ইঞ্চি কারো দুই,কারো বা তিন ইঞ্চি ইত্যাদি আকারের হয়ে থাকে। মনে করুন,অনেক পুরুষ আছে যাদের লিঙ্গ সাধারন অবস্থায় তিন ইঞ্চি হয়ে থাকে আর উত্তেজিত অবস্থায় হয় চার ইঞ্চি। আবার,অনেক পুরুষ আছে যাদের লিঙ্গ সাধারন অবস্থায় হয়ে থাকে দুই ইঞ্চি এবং উত্তেজিত অবস্থায় হয় চার ইঞ্চি।এই কারণে সাধারন অবস্থার লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ধর্তব্য নয় ; উত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কতটুকু সেটাই ধর্তব্য। উত্তেজিত অবস্থাই সর্বনিম্ন দুই ইঞ্চি লিঙ্গ হলেই স্বামী তার স্ত্রীকে পরিপূর্ন যৌনসুখ দিতে পারে।
আর এ ক্ষেত্রে স্বামীর জন্য আবশ্যক জরুরি হল,স্ত্রীকে ফরপ্লে বা শৃঙ্গার এর মাধ্যমে পরিপূর্নভাবে যৌনউত্তেজিত করে তুলার পরেই স্ত্রীর যোনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করানো। লিঙ্গের মাপ নেয়ার ব্যাপারে নানাজনে নানা রকম ধারণা দিয়েছেন। কেউ বলে ওপরে মাপো, কেউ বলে নিচের দিকে মাপো।কেউ বলে দাঁড়িয়ে মাপো,কেউ বলে শুয়ে মাপো।কিন্তু মাপলে তো লিঙ্গ বড় বা ছোট হবে না। লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও আকার নিয়ে চিন্তিত হয়ে কোনো পরিবর্তন আনা যায় না।সুতরাং চিন্তা না করাই ভালো। আপনার লিঙ্গ যদি উত্তেজিত অবস্থায় সর্বনিম্ন দুই ইঞ্চি হয়ে থাকে তবে চিন্তার কিছু নেই। কারণ স্ত্রীকে পরিপূর্ন যৌনসুখ দিতে উত্তেজিত অবস্থায় লম্বায় সর্বনিম্ন দুই (২) ইঞ্চি লিঙ্গ হলেই যথেষ্ট।উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য হয়ে থাকে 4 থেকে 5.1ইঞ্চি। কিন্তু লিঙ্গ বড় হলে অনেক মেয়েরাই যৌন মিলনে আনন্দ পাওয়ার বদলে কষ্ট অনুভব করে থাকে।তাই লিঙ্গের দৈর্ঘ্য, আকার আকৃতি নিয়ে কোনো প্রকার চিন্তা না করাই ভালো।যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন এবং অধিক আনন্দ লাভের জন্য যৌন মিলনের নানা প্রকার কলাকৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করুন।......... বি.দ্র. উত্থিত অবস্থায় কোন পুরুষের পুংলিঙ্গের দৈর্ঘ্য যদি আড়াই (২.৫)ইঞ্চি হয় তবে সে তার স্ত্রীকে পূর্ণ যৌনসুখ বা যৌনতৃপ্তি দিতে সক্ষম হবে।নারীর রমন-পথের(স্ত্রী-যোনীপথের) গভীরতা গড়পড়তায় মাত্র তিন (৩)ইঞ্চি।আর স্ত্রীর নারীর যোনীপথের শুরুর দেড় (১.৫)থেকে দুই (২)ইঞ্চি অংশ শুধুমাত্র যৌনস্পর্শকাতর হয়ে থাকে।সুতরাং এই দেড় থেকে দুই ইঞ্চি অংশ পর্যন্ত আড়াই ইঞ্চি দৈর্ঘের পুংলিঙ্গ খুব সহজেই পৌঁছাতে পারে এবং সাথে সাথে স্ত্রীকে যৌনসুখ দিতে সক্ষম হবে।শতকরা সত্তর জন নারী/স্ত্রী পুংলিঙ্গের মাধ্যমে অর্গাজম বা চরমপূলক লাভ করে না।বরং স্বামীর দ্বারা ভগাঙ্কুর ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে স্পর্শ, মর্দন, ঘর্ষন,চুম্বন, লেহন ইত্যাদি করিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে স্ত্রী যৌনসুখ বা চরমপূলক লাভ করে থাকে।অধিকাংশ স্ত্রীই ফরপ্লে বা শৃঙ্গারের মাধ্যমেই যৌনসুখ বা চরমপূলক লাভ করে থাকে।এমতাবস্থায় স্ত্রীর যৌনউত্তেজনা যখন চরম পর্যায়ে উঠবে ঠিক তখনই স্বামী তার পুরুষাঙ্গ স্ত্রীর যোনীর ভেতর প্রবেশ করিয়ে লিঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে সঙ্গম করবে।এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী সঙ্গমের জন্য এমন আসন নির্বাচন করে নিবে যাতে স্বামীর লিঙ্গ স্ত্রীর যোনীর গভীর পর্যন্ত খুব সহজেই পৌঁছতে পারে।যেমন: স্ত্রীকে চিত করে শুয়ায়ে স্ত্রীর কোমর বা পাছার নিচে বালিশ দিয়ে এরপর স্ত্রীর উপর উপুর হয়ে স্ত্রী যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশ করিয়ে সঙ্গম করা ইত্যাদি।
আজকে আমি এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলবো। প্রথম কথা হচ্ছে মেয়েদের যোনী বা যোনীর যে খাঁজ থাকে, সেটা ৩ ইন্চি পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে থাকে।
কি বুঝলেন?
তার মানে আপনার যদি, বা কারো যদি ৩ ইন্চি থাকে তাহলে তার চিন্তা নেই। তবে এর থেকে কম হলে এটা সমস্যা।
আসলে যৌনতার ক্ষেএে সাইজ এর থেকে বেশী মেটার করে,
কতক্ষণ করে?
কিভাবে করে?
আপনার সাইজ যদি ৩ বা তার বেশী হয়। তাহলে চিন্তার কারন নেই। দেখার বিষয় হলো আপনি কিভাবে করছেন? কতক্ষণ করতে পারছেন? যেটা আমি একটু আগেই বল্লাম।
এই বার আসি একটা মেয়েকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি কিভাবে করা যায়?
মেয়েদের ক্ষেএে সেক্স শারীরিক ভাবে যত বেশী গুরুত্বপূর্ন মানষিক ভাবে তার থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ন।
অর্থাৎ একটা মেয়েকে সর্বোচ্চ সুখ দিতে হলে মেয়েটির আপনার প্রতি ভালোবাসা, মানষিক বা মনের মিল যাই বলেন না কেনো? থাকতে হবে।
যদি শারীরিক সুখই মেয়েদের কাছে মূখ্য হতো, তাহলে পতিতালয়ের মেয়েরা হতো সবচেয়ে সুখী।
তো যাইহোক আপনার ছোয়াঁ যেনো ভালোবাসার হয়, ভোগের না হয়। আদর, সোহাগ, এই বিষয়গুলা বেশী গুরুত্বপূর্ন একটা মেয়েকে তৃপ্ত করার জন্য।
ফোরপ্লে: অনেকে এটা জানেন আবার অনেকে জানেন না। যারা জানেন তারা তো জানেন নি, আর যারা জানেন না তারা গুগল ইউটিউব করে নিবেন। তারপরেও আমি কমেন্টে ফোরপ্লের কিছু টিপস দিয়ে দিবো।
ফোরপ্লে যদি আপনি ঠিকঠাক করতে পারেন, তাহলে আপনার ৮০-৯০% কাজ শেষ, যত বেশী উওেজিত করবেন। আপনার ইন্টারকোর্সে সময় তত কম দেয়া লাগবে।
লোহা যত বেশী গরম হবে,হাতুড়ী মারতে তত বেশী সহজ হবে।
মেয়েদের লোহার সাথে তুলনা করার কারন হলো, লোহা কিন্তু অনেক আস্তে আস্তে সময় নিয়ে গরম হয়, এবং ঠান্তা হতেও সময় বেশী নেয়। আর ছেলেরা যত দ্রুত গরম হয় ততো দ্রুত ঠান্ডা হয়।
একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন, সেক্স করার সময় আপনার মাথায় রাখবেন কিভাবে সঙ্গীকে তৃপ্ত করা যায়। কারন মেয়ে সঙ্গী তৃপ্ত হলে আপনি অটোমেটিক তৃপ্ত হয়ে যাবেন।
আরো কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো মেনে চলতে হবে, যেমন:
ব্যায়াম : এই জিনিষটা অনেক বেশী জরুরী ভালো একটা শরীর এবং ভালো একটা সেক্স লাইফ পেতে। নিয়মিত ব্যায়াম আপনার পারফর্মকে আরো ভালো করবে, শরীরও সুস্হ থাকবে।
তারমধ্যে একটা ব্যায়াম আছে যেটাকে বলে কী -গেইল বা এই টাইপের ইউটিউব, গুগল করলেই পাবেন। এই ব্যায়ামটা করতে পারেন এটা আপনাকে বেশীক্ষন বীর্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
খাবার : খাবার ব্যাপারটাও জরুরী, আপনি প্রতিদিন সকালে কাচাঁ ছোলা খেতে পারেন, তাছাড়াও দুধ, ডিম, খেজুর, কলা, বিভিন্ন শাক সবজি তাজা ফলমূল এছাড়াও তালমাখানা, শতমূল, কাতিলাগাম, অশ্বগন্ধা, শিমুল মূল, আলকুশি, শিলাৎজিত, এই ভেষজ খাবার গুলো খেতে পারেন।
ঘুম : প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করতে হবে এবল ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যাপারগুলো শুধু সেক্স লাইফ না, আপনার জীবন, শরীর, মন ও উন্নত করবে।
মানষিক : মানষিক ব্যাপারগুলো এই ক্ষেএে অনেক বেশী মেটার করে। ৯০% যারা মনে করে তাদের যৌন সমস্যা আছে সেটা আসলে মানষিক, মানে মনের কারনে বেশীক্ষণ সময় দিতে পারে না, কারন তারা মনে করে যে তারা পারবে না। এবং তাদের সমস্যা আছে, এজন্য তারা পিছিয়ে পরে, এরজন্য যেটা করতে হবে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এবং সম্ভব হলে মেডিটেশন এবং ব্রেন এর ব্যায়াম গুলো করতে হবে।
সেক্সের সময় পরিবেশ যেমন হালকা গান লাগানো মোমবাতি জ্বালানো সুগন্ধি লাগানো ভালো করে গোসল বা ফ্রেস হওয়া, মানে রোমান্টিক একটা ভাইভ সৃষ্টি করতে পারলে ব্যাপারটা আরো জমবে। এবং আদর সোহাগ করার সময় মাথায় রাখতে হবে এটা ভোগের জিনিষ না ভালোবাসার জিনিষ, আর এই সময় সম্পূর্ণ মনোযোগ সঙ্গীর দিকে দিতে হবে।
এছাড়াও বীর্য বেশিক্ষণ ধরে রাখার কিছু টেকনিক আছে যারমধ্যে ইরাপিঙ্গলা একটা এইরকম আরো কিছু ব্যাপার আছে, গুগল আর ইউটিউব দেখতে পারেন। এই জিনিষগুলা আপনাকে সাহায্য করবে, পারফর্মেন্স বাড়ানোর জন্য।
সেক্স দুনিয়াতে দেওয়া জান্নাতের একমাএ নেয়ামত, তাই বলা হয়, যখন কাম এবং ভালোবাসায় দুইজন তৃপ্ত হয় তখন তারা স্বর্গ সুখ লাভ করে।
আর একটা প্রবাদ আছে, জ্ঞানীরা ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে না তারা একই কাজ ভিন্নভিন্ন ভাবে করে থাকে। সবসময় একভাবে করবেন না, আসন, জায়গা, পরিবেশ পরিবর্তন করে নিতে হবে।
সতর্কতাঃ লিঙ্গ জেনেটিক ভাবে হয়, মানে আপনার ডিএনএ তে আগেই কোড করা আছে। তাই আপনার যা আছে সেটাই থাকবে৷ এটা নিয়ে টানাটানি করে,তেল, পানি, মালিশ, ওষুধ দিয়ে বড়ো করতে পারবেন না।
একটা উপায় আছে সেটা হলো সার্জারী, কিন্তু এটা করার পরামর্শ দিবো না, আর আগেই বলছি সাইজ টা খুব বেশী ইম্পর্টেন না।
আর একটা ব্যাপার সেইটা হলো কলিকাতা হারবাল থেকে শুরু করে বাজারে যতো রকমের ওষুধ পাওয়া যায় এই গুলা সব ভূয়া।
সাময়িক সময় হয়তো কাজ করবে, কিন্তু কিছুদিন পর এতো বেশী সমস্যা করবে, এবং পরে এটাকে আর ঠিক করতে পারবেন না। মানে আপনি শেষ ঐ দিন একটা লিখা পড়লাম, এইসব ওষুধ খেয়ে কিডনি ড্যামেজ হয়ে মারা গেছে।
তবে আমি যেই ভেষজ গুলার নাম বলছি এইগুলা প্রাকৃতিক হওয়ার কারনো কোনো সাইড ইফেক্ট নাই, এইগুলা খেলেই হবে আর বাকি যা বলেছি সেই নিয়ম গুলো তো আছেই।
তবে যদি পর্ন দেখা বা হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকে, তাহলে উপরের কোনো কথাই কাজে লাগবে না। আগে এই দুইটা বদ অভ্যাস ছাড়তে হবে। এই জন্য "মুক্ত বাতাসের খোঁজে" একটা বই আছে বইটা পড়তে পারেন।
আর হস্তমৈথুনের ফলে লিঙ্গে অধিক চাপ পরে যার কারনে যেই রগগুলো আছে, সেই রগগুলো ড্যামেজ হয়ে যায়। যারফলে দ্রুত বীর্যপাত সহ লিঙ্গ না দাড়াঁনোর সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে নিজেকে মানষিক ভাবে শক্তিশালী করে তোলার থেকে বড়ো কোনো ওষুধ নাই৷ তাই নিজেকে মানষিক ভাবে শক্তিশালী করুন।
যাইহোক জানিনা কতটুকু কি বোঝাতে পারছি, সব এলোমেলো করে লিখছি, ঠিকমতো গুছিয়ে লিখতে পারিনি। এই জন্য আমি দু:খিত, তারউপরে অনেক দিন পর লিখলাম।
জানিনা কেমন হইছে, তবে যদি এই লিখার কারনে মানুষ সামান্য কিছু জানতে পারে, সামান্য কিছু শিখতে পারে। এবং সামান্যা উপকারীত হয় এতোি সার্থকতা।
ধন্যাবাদ সবাইকে।
0 Comments